সাড়ে সাত মাস পর দুই আসামি আটক

মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

পেকুয়ার মাদ্রাসাছাত্রী রেখামণিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামিকে দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস পর চট্টগ্রাম থেকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার পেকুয়া থানা পুলিশ চট্টগ্রামের হালিশহর পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃতরা হলেন আবুল কাসেম (২১) ও আলমগীর (২৩)।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বেশ কয়েকদিন নজরদারির পর দুই আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আটককৃতদের রিমাণ্ড চাওয়া হবে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ জুলাই রাজাখালী ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকা থেকে রেখা মণি (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত রেখামণির পিতা আইয়ূব আলী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী ছনুয়ার ওয়াইজ পাড়ার মকছুদ আহমদের পুত্র আবুল কাসেম, রাজাখালী ইউনিয়নের মিয়ারপাড়ার মৃত আবুল হোসেন প্রকাশ বাদশাহর পুত্র আলমগীর, একই ইউনিয়নের হাজিরপাড়ার নুরুল হকের পুত্র রবি আলমকে (১৯) আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক ছিল।
নিহত রেখামণি রাজাখালী ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বিইউআই ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী।
নিহতের পিতা আইয়ুব আলী বলেন, দীর্ঘ ৭ মাস পর দুজন আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। আমার মেয়ে নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে। ঘটনার দিন আমি ও আমার স্ত্রী বাঁশখালীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এই সুযোগে বখাটেরা রাতে আমার বাড়িতে গিয়ে মেয়ে রেখামণিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাছের ঘেরের একটি বাসায় ধর্ষণ করে। এতে আমার মেয়ে বাড়িতে এসে অপমানে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে। আসামিরা প্রায় আমার মেয়েকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে ইভটিজিং করত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপদ্মা অয়েল কোম্পানির ৫২তম বার্ষিক সভা
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে ভুয়া গোয়েন্দা গ্রেপ্তার