প্রাচীন বাংলা পুঁথি সাহিত্যের অমর গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সার্ধশত জন্মবর্ষ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের চেতনা ধারণ করে পটিয়াসহ সারা দেশ আলোকিত হবে। এরকম একজন অসাধারণ মানুষ তাঁর দীপ্ত চেতনায় যে আলোকিত উৎস গণমানুষের জীবনকে ধন্য করেছে তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব নিয়ে সবাই যখন এগিয়ে যাবে তখন মনে হবে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ শুধু একজন ব্যক্তিমাত্র নয়; তিনি একজন ইতিহাস-ঐতিহ্যের মানুষ, যাকে ধারণ করে জাতি তার সমগ্র চেতনাকে অগ্রগামী করে সুদূর পথে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে। আমরা আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে মনে রাখবো বাংলা ভাষার একজন পথিক হিসেব যিনি আমাদের মাঝে পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে শিল্প সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। এসব জায়গাগুলো পূর্ণ হবে আমাদের প্রজন্মের দ্বারা, যারা বাংলা ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেল তিনটায় পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশুসাহিত্যিক কবি সুজন বড়ুয়া ও বাংলা একাডেমির পরিচালক প্রাবন্ধিক-গবেষক ড. তপন বাগচী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান এডভোকেট কবি শেখর নাথ পিন্টু। আলোচনা করেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আলিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর এবিএম আবু নোমান ও প্রাবন্ধিক-গবেষক অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া। সঞ্চালনা করেন পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু ও সমন্বয়ক শিবুকান্তি দাশ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।