সালমান-আনিসুলদের রক্ষার চেষ্টাকারী পুলিশকে আইনের আওতায় আনা হবে : উপদেষ্টা

| বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দুটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনকে বাঁচিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের চেষ্টা করেছেন যে তদন্ত কর্মকর্তা, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, যে এই কাজটা করছে তাকে কিন্তু আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। তিনি মনে হয় এখন ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকলেও ছুটি বেশিদিন কাটাতে পারবে না। আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। খবর বিডিনিউজের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী এবং নিউমার্কেট এলাকার হকার মো. শাহজাহান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই দুই হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বুধবার ঢাকার একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান, আনিসুল, জিয়াউলদের নাম ছিল না। সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জাহাঙ্গীর আরিফ নিজেকে নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক পরিচয় দিয়েছেন, যদিও তিনি কর্মরত ডিবিতে। মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টার আগে তিনি সাক্ষ্যস্মারকলিপিতে (মেমো অব এভিডেন্স বা এমই) ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সইও নেননি। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ায় আবার তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি জানাজানির পর অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর।

গতকাল সন্ধ্যায় সস্ত্রীক রাজধানীর কাকরাইলে সেইন্ট মেরীস ক্যাথেড্রালে বড়দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। তিনি বলেন, এই ধরনের কাজ আমরা কোনো সময় প্রশ্রয় দেব না। এইভাবে সাবমিট করার কিন্তু সিস্টেম নাই। তিনি প্রসিডিউরও ফলো করেননি।

চাঁদপুরে জাহাজে সাতখুনের ঘটনার পেছনে কী ছিল জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে লোকগুলো মারা গেছে তাদের মোবাইলগুলো পাওয়া গেছে। তার বিচার হবে। অন্য আরেকজন যে আহত আছে তাকে সুস্থ করে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুধু ভোটের জন্য এত মানুষ প্রাণ দেয়নি : আসিফ মাহমুদ
পরবর্তী নিবন্ধস্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে কখনো ধূসর হতে দেবেন না