নগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দুরপাল্লার বাস থেকে সার্ভিস চার্জের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির নেতারা। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তর থেকে বাতিলকৃত আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির (রেজিঃ নং-১৬২৬) অসাংবিধানিক কার্যকরী কমিটির কর্মকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানানো হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল হুদা মুরাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কর্তৃক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণে কঠিন নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু একশ্রেণীর সুবিধাভোগীরা সে নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে আন্তঃজিলার বিভিন্ন রুটে নিয়মিত চলাচলরত ৮৫০-৯০০ টি গাড়ি থেকে দৈনিক ২১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত বাস মালিকদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা আদায় করে আসছে। অথচ কেন্দ্রীয় সংগঠন থেকে লাইনে নিয়োজিত স্টাফ খরচসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের ৩০ টাকা আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৩০০ গাড়ির মালিক হতে প্রভিশনাল ভর্তি রশিদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাড়ির মালিককে ভোটার তালিকাভুক্ত না করার অভিযোগ রয়েছে। এসব টাকা কারা কিভাবে আদায় করে তার একটি সুনির্দিষ্ট তদন্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতি সভাপতি গোলাম রসুল বাবুল, আমজাদ আনসারী, নুরুল ইসলাম নুরু, মাহবুবুল হক, হাজী রফিক, মো. ইউনুস, মো. হাফিজ ও মোহাম্মদ জাফর প্রমুখ।