সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বিঘ্নিত করলে কঠোর ব্যবস্থা : ইসি

যৌথবাহিনীর অভিযান আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত

| সোমবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচনকে যারা বিঘ্নিত করতে চায় তাদের চিহ্নিত করার কথাও বলেছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি। তবে নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যাহত করে এমন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যৌথবাহিনীর অভিযান আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ইসির তরফে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে এটি ইসির দ্বিতীয় বৈঠক। এদিন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিকালের সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা। পরে পৌনে ৩টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থা প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে ইসি। এ দুই বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে যদি বলি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই আছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়, আমরা এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয় সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এবং ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে, সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আচরণবিধি প্রতিপালন সন্তোষজনক হলেও কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরই মধ্যে শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ড ভোটের পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে যে সময়টা পার করেছি, সেদিক থেকে একটা বড় ঘটনা ঘটে গেছে শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড। যে কারণে ব্যাপারটা এত বেশি ওভারপাওয়ারিং ছিল, পুরো জাতি আমরা হতবাক হয়ে গেছি। এটাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে একটা প্রভাব ফেলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোটের আগে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ইসির বৈঠক
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে জব্দ করা মাটি প্রতিস্থাপন করা হলো পাহাড়েই