নগর ট্রাফিক পুলিশের (পশ্চিম) সার্জেন্ট মো. সজলের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মো. রায়হান নামের এক যুবক নিজেকে ভোক্তভোগী দাবি করে গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। বাদীর আইনজীবী মো. সাইফুল আলম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১২ জুলাই আমার মক্কেল পরিবারের লোকজন নিয়ে নিজের মেঙ্মিা গাড়ি করে হালিশহরের সাগর পাড়ে বেড়াতে যান। সেখানে ছিলেন সার্জেন্ট মো. সজল। গাড়িটি অন্য রোডের বলে তিনি আমার মক্কেলের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। আমার মক্কেল ১ হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে গাড়ি, গাড়ির কাগজ তার কাছে রেখে টাকার জন্য বাসায় গেলে গাড়িটি ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। অথচ কোনো স্লিপ দেয়া হয়নি।
আইনজীবী আরও বলেন, পরদিন মনসুরাদের ট্রাফিক অফিসে গেলে আমার মক্কেলকে একটি স্লিপ দেয়া হয়। স্লিপে চালক পলাতক ও আচরণ খারাপ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কোনো নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। আমার মক্কেল সংশ্লিষ্ট টিআইকে বিষয়টি জানালে তিনি গাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে টিআই ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে এবং আচরণ খারাপ সম্পর্কিত লাইনগুলো কেন লিখেছেন জানতে চাইলে তিনি আমাকে মক্কেলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বুকে ঘুষি মারেন। এছাড়া ধাক্কা মেরে মাঠিতে ফেলে দেয়া হয়।
এসব বিষয় উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যার কারণে আদালতে নালিশি মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলেও আইনজীবী জানান। আইনজীবী মো. সাইফুল আলম আরো বলেন, আদালত আমাদের অভিযোগটি গ্রহণ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কাউকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।











