মানবতা, মায়া–মমতার ছায়া মনুষ্যত্ববাদী মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব যা বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, মেধা বৃত্তির প্রতীক। এর বিপরীত দিক অনেকর প্রতিয়মান। জানা যায়, পৃথিবীর সৃষ্টির আলো এক ধ্বংস লীলা যুদ্ধের অবসানে। আগমনে জীব–বৈচিত্র্য, মানবজাতি যা আদি হতে বর্তমান। সৃষ্টিতে ধ্বংস অবধারিত সৃষ্টিকর্তা দ্বারা নির্ধারিত, শুভ ফলের আশা। বিপরীতে ঘটা অশনিসংকেত। মানব দেহে শয়তানের আগমন যা বর্তমান আধুনিক সারা বিশ্বে পরিলক্ষিত। ধ্বংস লীলায় সকলে খেলায় মাতোয়ারা। জেতার লড়াইয়ে হারার আহাজারি বেদনায় জর্জরিত। অবুঝ শিশুদের কী দোষ? পালানোর দৌড় কি তারা জানে? মৌলিক অধিকার বিনা আতংকে লাখো লাখো মানুষ, যারা বারুদ থেকে নিজ প্রাণ বাঁচাতে কাছের মানুষটিকে ছেড়ে আসে ধ্বংস যজ্ঞে। পরিবারের বৃদ্ধরা আজ সদস্যদের মুখে এক বেলা খাবার জোগাতে অনিশ্চয়তার পথে। যুদ্ধের গোলা বারুদ মানুষের তৈরি, মানব জাতির ধ্বংস। আজ অমনুষ্যত্বে হিংসা, ক্রোধ, ধর্মবৈষম্য, যুদ্ধ চেতনার বাসস্থান। মনুষ্য বিলুপ্তে কী বা লাভ? আধুনিক বিশ্ব কাদের নিয়ে এগোবে? তাহলে কি ডাইনোসরদের মতো মানব জাতির একই পথ। আজ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের পাশে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন যুদ্ধ–ধ্বংস বন্ধে, যেন নিজ স্বার্থে না হয়। বিরোধিতায় মনুষ্যত্ব উত্তপ্তে মানবজাতির ক্ষতি, যা নিজ দেশ হতে ভিন দেশেও। আর নয় যুদ্ধ, যুদ্ধ–ধ্বংস শেষে শান্তি ফিরুক সারা বিশ্বে। এভাবে চললে অচিরেই পৃথিবীতে ধেয়ে আসবে কালো মেঘ, অন্ধকারে ঢেকে যাবে পথ। তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা কি শুরু?