সারা বছর যাওয়া যাবে সেন্টমার্টিনে, চালু হচ্ছে সি প্লেন

প্রতিদিন সুযোগ পাবেন নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার-মহেশখালী ও টেকনাফে চলবে ক্যাবল কার

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

ভ্রমণে আসা পর্যটকরা যাতে সারা বছর সেন্টমার্টিন যেতে পারেন সেজন্য সি প্লেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দ্বীপের পরিবেশপ্রতিবেশ রক্ষায়ও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যার মধ্যে থাকবে পর্যটক রেজিস্ট্রেশন ও অতিরিক্ত পর্যটক যেন সেখানে ভ্রমণ না করতে পারেন তেমন কিছু বাধ্যবাধকতা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অব ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার এসব উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরেন।

নুরুল আবছার বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষার পরপরই প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা। এতে একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ভ্রমণে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দ্বীপ রক্ষা করতে হবে। একসাথে অতিরিক্ত চাপ কমাতে প্রতিদিন সুনির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। তাই পুরো বছর সেখানে ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে সিপ্লেন চলাচলের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এই জেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদণ্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

জেলার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমরা যে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছি তা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেওয়া মেগা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেওয়া হবে। কমোডর নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রশস্থকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক। বিদেশি পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

এ সময় কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনের ওপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সংকট এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয় উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অব ক্যাপস্টোন কোর্স২০২৩/২ এ ফেলোদের মধ্যে সংসদ সদস্য, বিচারক, অতিরিক্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতকে ৬ রানে হারিয়ে টাইগারদের স্বস্তির জয়
পরবর্তী নিবন্ধখুলে দেওয়া হলো স্পিলওয়ের ১৬ গেট