সারা দেশে ‘শহীদি মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী সংগঠন

হাসিনা সরকারের পতনের মাসপূর্তি আজ

| বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একমাস পূর্তি আজ। এ উপলক্ষে এবং আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণে রাজধানীতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ দুপুর ৩টায় কেন্দ্রীয়ভাবে ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হয়ে নিউ মার্কেট, মানিক মিয়া এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদি মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে কর্মসূচিতে ছাত্রজনতাকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

সারজিস বলেন, দেশ সংস্কারে যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে তাদের এখনই স্মরণ করার সময়। এজন্য আমরা বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে ও গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদি মার্চ করব। আমরা চাইব, পুরো বাংলাদেশের ছাত্রজনতা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই শহীদি মার্চে অংশগ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে গণজোয়ার নামবে।

কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরে সারজিস বলেন, শহীদি মার্চে অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া, দেশ নিয়ে প্রত্যাশা এবং কেমন রাজনীতি চাই এসব বিষয় ব্যানার ফেস্টুনে তুলে ধরতে চাই। চিত্রকর্মের মাধ্যমেও অংশগ্রহণ করতে পারেন। হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদারসহ অন্য সমন্বয়করা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীচাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের শুরু জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে। এরপর মাসের মাঝামাঝিতে সেই আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায় এবং পরে তা পরিণত হয় সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে। আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে সাতশর বেশি মানুষ নিহত হওয়ার তথ্য এসেছে সংবাদমাধ্যমের খবরে, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির হিসাবে, ৭০ শতাংশ মৃত্যুই হয়েছে গুলিতে। ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর ছাত্রদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নোবেল জয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে এসে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়কও স্থান পেয়েছেন ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধ১৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)