সারা দেশে আজ শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ

নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না : কাদের

| রবিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

হরতালকে ভোঁতা অস্ত্র উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এই কর্মসূচি কেউ মানবে না। পশ্চিমারা বিএনপিকে উসকানি দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সেটি রোববার থেকে আর হবে না। রোববার (আজ) বিএনপি ঘোষিত হরতালের দিন আওয়ামী লীগ সারা দেশে জেলা ও থানা পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে দলীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এদের (বিএনপি) এই নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। হরতালের এই অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। এই ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না। খবর বিডিনিউজের।

বিএনপির পাশাপাশি আজও রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ) সারা দেশে থানা, মহানগর, জেলা উপজেলায় আমরা শান্তি সমাবেশ করব। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তনের দাবিতে এদিন রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে যে সংঘাত ও সংঘর্ষ হয়, তাতে দলটির আসল চেহারা বের হয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই দিনটিতে কাছাকাছি এলাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে যে উত্তেজনা ছিল, তা শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয়। এই সংঘাতের পুরো দায় বিএনপিকে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল গতকাল আমার আগেই বলেছিলেন, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন। আমি বলেছিলাম, দেখেন তাদের মুখে শান্তি, কাজে কী করে। আজকে দেখলেন তো বিএনপি কত নোংরা? সন্ত্রাসী চেহারা, আগুন সন্ত্রাসীর চেহারা। এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

কাদের বলেন, বিএনপির মহাযাত্রা মরণযাত্রায় রূপ নিয়েছে। কোথায় ফখরুল, কোথায় মির্জা ফখরুল। খেলা হবেখেলা হবে। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সামনে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে, তাদের শিক্ষা দিয়ে দিতে হবে। এদের স্বভাব আগের মতোই আছে, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তাদের ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আন্দোলন গড়ে তুলব।

প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা এবং পুলিশের ওপর হামলা নিয়ে তিনি বলেন, জবাব দিতে হবে, কেন আজকে একজন সজ্জন মানুষ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হলো? তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের গায়ে হাত তুলেছে, একজন পুলিশকে হত্যা করল, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। এসব বাড়াবাড়ি, অস্ত্রবাজি, বোমাবাজি, নোংরামির জবাব বাংলার মাটিতে অবশ্যই শাস্তি হবে। তাদের অপরাধের বিচার হবে। শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, ক্ষমা নেই।

পশ্চিমারা বিএনপিকে উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কাল থেকে আর পাবেন না। দুপুর পর্যন্ত মরণ কামড়, তারপরে এদিক ওদিক দেখে পালিয়ে গেছে। আমরা থাকব। নেতাকর্মীদের পাড়া মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, আপনারা সতর্ক থাকবেন, পাড়া মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকবেন। আগামীকাল সারা দেশে থানা, মহানগর, জেলাউপজেলায় আমরা শান্তি সমাবেশ করব। আমরা শান্তি চাই, আমরা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে, রক্তপাতের বিরুদ্ধে, নির্বাচনের আগে শান্তি চাই। নির্বাচনে শান্তি চাই, নির্বাচনের পরে শান্তি চাই।

ক্ষমতাসীন দলের এই সমাবেশটি ডাকা হয় এদিন ঢাকায় বিএনপির জমায়েতের জবাব হিসেবে। আগের দিন রাত থেকেই নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে থাকেন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সভামঞ্চে। সকাল ১০টার পর থেকে একের পর এক মিছিল আসতে থাকে নানা প্রান্ত থেকে। ঢাকার পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতারা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসতে থাকেন। তবে তাদের বহুজনই সমাবেশস্থলের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেননি। গুলিস্তানের সীমানা পেরিয়ে তাদের ভিড় আশেপাশের এলাকাতেও ছাড়িয়ে পড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ
পরবর্তী নিবন্ধটানেল যুগে বাংলাদেশ