নগরে গতকাল স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এতে বাড়ে গরম অনুভূতি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও গরমের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে–খাওয়া মানুষের অবস্থা হয়েছে দুর্বিষহ। তবে দিনভর গরম পড়লেও সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি আসে জনজীবনে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, নগরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল দুপুরে নগরের মুরাদপুরে রিকশাচালক নুরু আজাদীকে জানান, গতকালের মত গরম গ্রীষ্মকাল ছাড়া অন্য সময়ে অনুভূত হয়নি তার। গরমের তীব্রতার কারণে রিকশা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় আন্দরকিল্লাহ মোড়ে পথচারী হায়দার বলেন, দিনভর গরমে কাহিল ছিলাম। এখন যে বৃষ্টি তা আল্লাহর রহমত। এ বৃষ্টি না হলে সবার অবস্থা আরো কাহিল হত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও সতর্ক করে আবহাওয়া অফিস।