জরুরি ভিত্তিতে তালিকা চেয়ে সারাদেশে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিদর্শন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিভাগীয় পরিচালকদের দেয়া তালিকা নিয়ে চলতি মাসের মধ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সভা শেষে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের মৃত্যুর পর অধিদপ্তরের দায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মহাপরিচালক। খবর বাংলানিউজের।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর অননুমোদিত ওই হাসপাতালের কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে মারা যান সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক। একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন-এটা কারোই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত। হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।
সারাদেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩ হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি। মহাপরিচালক বলেন, সব জায়গাতেই অজুহাত আছে। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমার যে পরিমাণ জনবল দরকার সেটা নেই। তারপরও আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি বিভাগ, জোন ওয়াইজ বের করে এ ধরনের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার (অননুমোদিত) করতে হবে।
অননুমোদিত হাসপাতালে এরকম মৃত্যু বন্ধ করতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন-জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, সবগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। একটা কমিটিও হয়েছে। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা একা এটা করতে পারবো না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদের নিয়ে আমরা এটা করতে পারবো। আশা করছি এ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারবো।
মাইন্ড এইডে যাওয়ার আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাননি, সে জায়গায় দায় আছে কিনা প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, এটা সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য নেই। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই গুরুতর অন্যায় হয়েছে। এটার অবশ্যই বিচার হবে।