মানুষ একা বাস করতে পারে না। কথাটা সর্বজনীন এবং আদিম যুগ থেকে আধুনিক সভ্যতায় এখনও চলমান। হিংস্র পশুপাখির হাত থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য মানুষ সংঘবদ্ধ হতে থাকে, খাদ্য সংগ্রহের জন্য পশু শিকার করা, কৃষি কাজ করা, এমনকি সমষ্টিগতভাবে পাহাড়ের গুহায় একই স্থানে বসবাস শুরু করে। এভাবে সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে কালে কালে গঠন হয় পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী ঐক্যবদ্ধতা যা থেকে সৃষ্টি হয় United nation বা জাতিসংঘ। আর সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা হলো যে কোন সমাজের একটি মূল স্তম্ভ। এ স্তম্ভের উপরেই নির্ভর করে সমাজের ঐক্যতা ও আদর্শ। এমন কি ধর্মীয় আচার-আচরণ ধারণ, অনুশীলন ও প্রতিপালনের শক্ত ভীত তৈরী করার জন্য প্রয়োজন সামাজিক একাত্মতা ও সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা। সামাজিক সংগঠনগুলো সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মানুষ সামাজিক জীব হিসাবে সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানো ও সম্পর্ক রক্ষা করা সময়ের দাবি।
দার্শনিক এরিস্টটল বলেন, Pleasure in the job put perfection in the work. সংগঠন মানুষের নেতিবাচকতা, হতাশা ও দুঃখবোধ দূর করে মানুষকে ইতিবাচকতা, আনন্দ ও সমপ্রীতিতে সাহায্য করে। সংগঠনের অপর নাম ঐক্যবদ্ধতা, সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা জীবন চলার পথে একে অপরকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরী করে। জীবনের প্রতি পলে পলে জীবনকে উপভোগ ও উপলব্ধি করার পূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় প্রাণে প্রাণে ঐক্যের সেতুবন্ধনে। ঐক্যবদ্ধতা জাতি, সমাজ, পরিবারকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে।
এ প্রসঙ্গে ছোটবেলার এক গল্প মনে পড়ে গেল: এক বৃদ্ধের পাঁচ সন্তান ছিল। বৃদ্ধ একদিন সবাইকে ডেকে বললো, তোমাদের একটা করে লাঠি দিলাম, তোমরা এটা ভাঙ্গতে পার কিনা চেষ্টা কর। নিমিষেই সন্তানেরা লাঠিখানা ভেঙে ফেলল। এবার বৃদ্ধ পাঁচখানা লাঠি একত্রে করে সকল পুত্রদের ভাঙতে আদেশ করলো। তখন কেউ আর শত চেষ্টা করেও পাঁচখানা লাঠি এক সাথে ভাঙতে পারলো না। অতএব বৃদ্ধ পাঁচ পুত্রদের উপদেশ দিলেন তোমরা ব্যক্তিগতভাবে যতই শক্তিশালী হও, একা একা থাকলে সবাইকে যে কোন কেউ ক্ষতি করতে পারবে আর একত্রে থাকলে কেউ তোমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ভাঙতে বা ক্ষতি করতে পারবে না। শত কষ্ট হলেও ‘একতাই শক্তি’ জেনে আমার অবর্তমানে সকল ভাইয়েরা মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে বাস করবে তাতে তোমাদের উন্নতি হবে এবং শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পাবে। তাই পবিত্র ত্রিপিটকে বলা হয়েছে ‘সংঘং শরনং গচ্ছামি’ – আমি সংঘ বা একতার শরণ গ্রহণ করছি। পবিত্র কোরানের আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘তোমরা কল্যাণমূলক কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অগ্রসর হও’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৪৮)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নবুওয়াত পাওয়ার আগেই সমাজ সেবার জন্য তরুণদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে সেবাসংঘ গঠন করেছেন। দেশব্যাপী করোনাকালে মৃতদেহ সৎকারে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দায়িত্ব পালনে সর্বাগ্রে এগিয়ে এসেছেন যথাক্রমে ইকরামুল মুসলিমীন, টিম খোরশেদ, তাকওয়া ফাউন্ডেশন, আল-মারকাজুল, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, গাউসিয়া কমিটি, আল- রশিদ ফাউন্ডেশন, মহানগর বৌদ্ধ দাহক্রিয়া কমিটিসহ আরো অনেক সংগঠন। আবার তদ্রূপ এই করোনাকালে মহামারীর দিনে খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে খাদ্যাভাব প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে দেখা দিলে তখন প্রায় প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে মানবতাবাদী ভিক্ষু সংঘরা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদানের সময় সমবেত হয়েছেন স্ব স্ব এলাকার হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান আবালবৃদ্ধরমণীসহ বোরখা পড়া মায়েদেরও একই কাতারে মিলেমিশে একাকার হতে দেখেছি। করোনা মানবসমাজকে সামাজিক ঐক্যবদ্ধতার এক অসাধারণ শিক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে শিখিয়ে দিয়েছে।এক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে ধর্ম যার যার কিন্তু সামাজিক সংগঠনগুলো সবার। এভাবে যুগের পর যুগ ধরে মানুষের সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধতা সমাজের জন্য পাথেয় হিসাবে সামাজিক সংগঠনগুলো মানবতার কাজ করে চলেছে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখি, জার্মানি ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। জার্মানিতে নগরায়নের হার অত্যন্ত উঁচু। বার্লিন দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। জার্মান ভাষা তাদের প্রধান ভাষা। জার্মানরা পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বহু অবদান রেখেছে। জার্মানিতে বহু অসাধারণ লেখক, শিল্পী, স্থপতি, সঙ্গীতজ্ঞ এবং দার্শনিক জন্মগ্রহণ করেছেন। কার্ল মার্কস, ফ্রিডরিশ নিৎসে, ইয়োহান, ভোলফগাং ফন গোটে এবং টমাস মান জার্মান সাহিত্যের দিকপাল। জার্মান বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশ। এটির অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পরে বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম। ১৯৪৫ সালে মিত্রশক্তি যুক্তরাজ্য, মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত করে। মিত্র দেশগুলি দেশটিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে। ব্রিটিশ ফরাসি মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা একেকটি অঞ্চলের দায়িত্বে ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পশ্চিমা শক্তিগুলির মধ্যকার মিত্রতা ১৯৪০এর দশকের শেষে ভেঙ্গে গেলে সোভিয়েত অঞ্চলটি জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র তথা পূর্ব জার্মানিতে পরিণত হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বাকী তিন অঞ্চল একত্রিত হয়ে পশ্চিম জার্মানি গঠন করে। যদিও জার্মানির ঐতিহাসিক রাজধানী বার্লিন পূর্ব জার্মানির অনেক অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল, তাসত্ত্বেও এটিকেও দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব জার্মান অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক। পশ্চিম জার্মানিতে অভিবাসী হওয়া শুরু করলে ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মান সরকার বার্লিনে একটি প্রাচীর তুলে দেয়।
১৯৮৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিনের জনগণ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটিকে পূর্ব ইউরোপে সাম্যবাদের পতন ও জার্মানির পুনঃ একত্রীকরণের প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৯৯০ সালে ৩রা অক্টোবর দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে জার্মান ফেডারেল প্রজাতন্ত্র গঠন করে। পুনঃ একত্রীকরণে জার্মান অর্থনীতিতে চরম চাপ পড়লে আনুমানিক ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউরো খরচ হয়। এ বিপুল ব্যয়ের মূলে ছিল পূর্ব জার্মানির দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো। দুই জার্মানিক মুদ্রাকে সমমান করতে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে, ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করতে গিয়ে প্রচুর লোকসান হয়। এখনো প্রতিবছর পূর্ব জার্মানে উন্নয়নের জন্য ১০ বিলিয়ন ইউরো খরচ হয়। এরপরও সমপ্রীতি, সৌহার্দ ও ঐক্যবদ্ধতার জয়কে সকলে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর ৩রা অক্টোবর ‘জার্মান ঐক্য দিবস’ পালন করে এবং ঐদিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। তথাগত বুদ্ধ বলেছেন, সুখো বুদ্ধানং উপপাদো সুখা সদ্ধম্মদেসনা, সুখা সঙ্ঘসস সামগগী, সমগগানং তপো সুখো (পালি, ধম্মপদ-১৯৪)। বাংলায় অনুবাদে হয়, জগতে বুদ্ধগনের উৎপত্তি সুখজনক, সদ্ধর্মের উপদেশ প্রচার সুখকর, সংঘের একতা সুখদায়ক, ঐক্যবদ্ধগণের তপস্যা সুখপ্রদ।
মহামতি গৌতম বুদ্ধ সুদীর্ঘ ৪৫ বৎসর সদ্ধর্ম প্রচারে একসময়ে সারন্দদ চৈত্যে বৃজি বংশেদের সম্মিলিত করে ‘সপ্ত অপরিহানীয় ধর্ম্ম’ জাতিকে ঐক্যবদ্ধকরণে উপদেশ দিয়েছেন তা সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য যদি কোন জাতি তা মনেপ্রাণে ধারণ ও প্রতিপালন করেন সে জাতি উন্নত জাতিতে পরিণত হবে নিঃসন্দেহে। তা নিম্নে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমত, সভাসমিতির মাধ্যমে যাঁরা সর্বদা একত্রিত হয় তাঁদের সর্বদা শ্রীবৃদ্ধি হয়। দ্বিতীয়ত, যাঁরা একতাবদ্ধভাবে সভাসমিতিতে সম্মিলিত হয়, সভাশেষ হলে একত্রে চলে যায় এবং কোন প্রকার নতুন করণীয় উপস্থিত হলে সকলে মিলিতভাবে সম্পাদন করে, তাঁদের সর্বদা উন্নতি হয়ে থাকে এবং অবনতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তৃতীয়ত, যাঁরা সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকার দুর্নীতি চালু করে না, পূর্ব প্রচলিত সুনীতির উচ্ছেদ সাধনও করেনা এবং প্রাচীন নীতিগুলি যথাযথভাবে পালন করে চলে – সর্বদা তাঁদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, পরিহানি হয় না। চতুর্থত, যাঁরা বয়োবৃদ্ধদের সৎকার করে, তাঁদের প্রতি গৌরব প্রদর্শন করে, সম্মান ও পুজা করে এবং তাঁদের আদেশ পালন করা উচিত বলে মনে করে – গার্হস্থ্য জীবনে সর্বদা তাঁরা উন্নতি লাভ করে থাকে। পঞ্চমত, যাঁরা অন্য কুল বধূ ও কুলকুমারীদিগকে বলপূর্বক ধরে এনে স্বীয় গৃহে আবদ্ধ করে রাখে না তাঁদের প্রতি কোন প্রকার অন্যায় আচরণ করে না- গার্হস্থ্য জীবনে সর্ব্বদা তাঁদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, কখনও পরিহানি হয় না। ষষ্ঠত, যাঁরা স্বগ্রামের বাইরে কিংবা অভ্যন্তরে পূর্ব্ব পুরুষদের নির্ম্মিত যে সমস্ত চৈত্য আছে, সেইগুলির যথাযথ সংস্কারসাধন করে, রীতিমত পূজা-সৎকার করে এবং সৈই চৈত্যগুলির উদ্দেশ্যে পূর্বপুরুষদের প্রদত্ত সম্পত্তি নিজেরা ভোগ না করে বিহারের কাজেই ব্যয় করে থাকে গার্হস্থ্য জীবনে তাঁদের উন্নতিই হয়ে থাকে, কখনও অবনতি হয় না। সপ্তমত, যাঁরা অর্হৎ ও শীলবান ভিক্ষুদিগকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (চতুপ্রর্ত্যয়) দান দিয়ে সেবা ও রক্ষা করে, তাঁদের সর্বদিক সুখসুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়, দেশে সে সকল অর্হৎ আগমন করেন নাই কি প্রকারে তাঁদের আনয়ন করা যায় সেই চিন্তা করে এবং স্বগ্রামে অবস্থিত অর্হৎ ও শীলবান ভিক্ষুদের নিরাপদে অবস্থান করছেন কিনা সর্বদা সন্ধান নিয়ে থাকে- গার্হস্থ্য জীবনে সর্বদা তাঁদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, কখনও পরিহানি হতে পারে না।
তথাগত বুদ্ধের উপরোক্ত উপদেশসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করে প্রাচীন ভারতে বৃজি বংশ অজেয় এবং উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছিলেন। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ‘সংঘ শক্তি’ তথা ঐক্যবদ্ধতা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সামাজিক সংগঠন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একত্রীভূত হয়ে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করলে সমাজের বহুবিধ কল্যাণ সাধিত হবে অবশ্যম্ভাবী।
পরিশেষে অনুভবে বলতে চাই, সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার সর্বপ্রথম ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই। আর এই ঐক্যবদ্ধতার মূলভিত্তি হচ্ছে শিক্ষা। যে জাতি শিক্ষা- দীক্ষা- জ্ঞান-গরিমায় যত উন্নত সে জাতি তত বেশী দেশপ্রেমের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ। শিক্ষিত জাতি সর্বদিকে অনেক সমৃদ্ধ ও নৈতিক গুণসম্পন্ন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসেবা, গণসচেতনতা, সুনাগরিকত্ব, নৈতিকতা, ধর্মীয় অনুশাসন, শিল্পসাহিত্য, গঠনমূলক সমালোচনা, দায়িত্বশীলতা, প্রবীণ- নবীনের সম্পর্ক, মূল্যবোধ জাগ্রত করা এবং নেতৃত্বগুণসম্পন্ন গঠনে সামাজিক সংগঠনগুলো পাড়ায়, মহল্লায়, ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে, গ্রামে, উপজেলা এবং জেলা ভিত্তিক গড়ে উঠলে, সাথে ‘চেইন-অব-কমান্ড’ ফলো করলে সমাজে যে অবক্ষয় ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে তা সহজে চিহ্নিত করে সমস্যা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। যুব সমাজকে খেলাধুলায় ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় বেশী বেশী সম্পৃক্ততা করা হলে সৃজনশীল মেধার বিকাশ হবে এবং অপকর্ম থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে।
তাই মান-অভিমান ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে সম্মান করে, সমাজ বিনির্মাণে, উন্নত সমাজ তৈরীর চেষ্টায় ছোট-বড় সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে মিলেমিশে কাজ করে, সমাজের অনিয়মগুলোকে চিহ্নিত করে এবং সমাজের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর , আদর্শিক ও মানবিক সমাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করাই হোক আমাদের আজকের লক্ষ্য। সাম্যের আর দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত বিদ্রোহী কবিতার লাইন দিয়ে শেষ করছি, ‘যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না/ অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না/ বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত- আমি সেই দিন হব শান্ত’।
লেখক :প্রাবন্ধিক