অবৈধভাবে ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ২২৭ টাকার সম্পদ অর্জন মামলায় খুরশীদ জাহান নামের এক নারীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশও এসেছে। তিনি চট্টগ্রাম সদর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী (ক্লার্ক) নুরুল আলমের স্ত্রী। গতকাল দুপুরে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুরশীদ জাহানকে এ কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। খুরশীদ জাহানের পাশাপাশি তার স্বামী নুরুল আলমও এ মামলায় অভিযুক্ত। কিন্তু তিনি জীবিত না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্পদের তথ্য জানতে নুরুল আলম ও তার স্ত্রী খুরশীদ জাহানকে নোটিশ দেয় দুদক। সে অনুযায়ী তারা দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। কিন্তু সেখানে নানারকম গরমিল ছিল। পাশাপাশি আয়ের উৎসও ঠিকমতো দেখাতে পারেননি।
২০০৯ সালের ১০ মে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ২২৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। আদালত দুদকের চার্জশিট আমলে নিয়ে পরের বছর দুজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।
দুদক পিপি বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যন্ত নুরুল আলম বেঁচে ছিলেন।
