সাবেক ৩ গভর্নর ও ৪ ডেপুটি গভর্নরসহ ৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব

| বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৫ at ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল বুধবার বিএফআইইউ এর তরফে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজকে জানিয়েছেন বেসরকারি একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই ব্যাংকার বলেন, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন, খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান, পলিসি অ্যাডভাইজরের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অস্থিরতার পর গভর্নর পদ ছাড়েন আব্দুর রউফ তালুকদার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে চার বছরের জন্য গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। সেজন্য চাকরির মেয়াদের এক বছর আগেই অবসর নিতে সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আরেক গভর্নর আতিউর রহমান বিদেশে চলে যান। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়েই ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে এক মাস পর, ফিলিপাইনের সংবাদ মাধ্যমের খবরে। তখন বিশ্বজুড়ে ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল।

অপর গভর্নর ফজলে কবির ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএফআইইউর ব্যাংক তলবের তালিকার মধ্যে ছয় ডেপুটি গভর্নরের মধ্যে রয়েছেন এস কে সুর চৌধুরী। তিনি দুদকের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাছাড়া এ তালিকায় রয়েছে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। গত বছরের সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের আন্দোলনের তোপে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

একই কারণে বিএফআইইউ প্রধান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মো. মাসুদ বিশ্বাসও রয়েছেন এ তালিকায়, তিনিও দুর্নীতির মামলায় এখন কারাগারে। মাসুদ বিশ্বাসের আগে বিএফআইইউ প্রধানের পদে থাকা আবু হেনা মো. রাজী হাসানের নামও এ তালিকায় রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় পুকুরের ডুবে শিশুর মৃত্যু