জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী ও সন্তানসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোতে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে আর্থিক খাতের এ গোয়েন্দা সংস্থাটি। খবর বিডিনিউজের।
শিরীন শারমিন ছাড়াও তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন, তাদের পুত্র সৈয়দ এবতেশাম রফিক ও মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন এবং মো. শফিউল ইসলাম নামে আরেকজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও পাঠাতে বলেছে বিএফআইইউ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।
চিঠিতে এ পাঁচ জনের বাবা–মায়ের নাম, ক্ষেত্রবিশেষে স্বামী–স্ত্রীর নাম, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। মো. শফিউল ইসলামের পেশা হিসেবে সরকারি চাকরি ও ‘দি সুবহানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী’ পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এরপর থেকে টানা তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগ জমা দেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।