সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে এটিএম শামসুল হুদা মারা যান। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মরদেহ বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তাঁর একমাত্র মেয়ে দেশে ফেরার পর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এটিএম শামসুল হুদা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এক-এগারোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব নেওয়া এই সিইসির অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা দেশে-বিদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি মাইলফলক হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবেও এটিএম শামসুল হুদার কর্মজীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগ দেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। কর্মজীবনে তিনি বাগেরহাটের মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), পানিসম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।