সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাঁশখালীতে জাতীয় নেতার পাশাপাশি কিছু কুলাঙ্গারও রয়েছেন। জাতির জনকের হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, সেখানে বাঁশখালীর কুলাঙ্গার মাহমুদুল ইসলামও স্বাক্ষর করেছিলেন। এসব কুলাঙ্গার থেকে জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৌলভী ছৈয়দ আহমদের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। এই মাসে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিগত দিনে এ মাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বারবার হামলা করা হয়।
এমপি মোস্তাফিজ বলেন, বাঁশখালীর উপকূল সুরক্ষা করার জন্য আরো ১২শত কোটির কাজ হবে। জলকদর খালের দুই পাশে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। বাঁশখালীর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ তলা ভবনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়ক ফোর লাইন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকলে দেশের ও বাঁশখালীর উন্নয়ন হবে।
দুুপুরে শেখেরখীল লালজীবন পাড়ায় মৌলভী ছৈয়দ আহমদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিকালের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর। প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. দিদারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম।
পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হামিদ উল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট তোফাইল বিন হোছাইন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম ফরহাদুল আলম, যুবলীগ নেতা উত্তম কুমার কারন, মাহমুদুল ইসলাম ও সেলিম উদ্দিন চৌধুরী।
এদিকে ‘কুলাঙ্গার’ ডাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ওই অধ্যাদেশে এ রকম আরো অনেকে স্বাক্ষর করেছেন। অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।