অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের মহাপরিচালক আকতার হোসেন মামলার দায়েরের বিষয়টি জানান। খবর বিডিনিউজের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ১৬ ডলার লেনদেন করেছেন। এই লেনদেনকে অস্বাভাবিক বলছে দুদক। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ফরিদপুর–৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
খন্দকার মোশাররফের ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। ওই সম্পর্কের টানাপড়েনে খন্দকার মোশাররফের পদপদীতেও প্রভাব পড়ে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকেও। তখন থেকেই তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশাররফ ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়।