সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার

হত্যার আসামি হয়ে কারাগারে

| শুক্রবার , ২৫ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে যায়। খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৩ আগস্ট আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন খায়রুল হক। এরপর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

এর আগে ২৫ আগস্ট খায়রুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। মামলায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে তার বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট নেওয়ার একটি অভিযোগও অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশনদুদক। এর অংশ হিসেবে দুদক বৃহস্পতিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান এবং উপকর কমিশনারের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছে। তবে দুদকের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বিধিবহির্ভূতভাবে একটি প্লট গ্রহণ করেছেনএ রকম একটি অভিযোগ অনুসন্ধানে নথিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছেলেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ মায়ের লাশ মিলল ডিএনএ টেস্টে
পরবর্তী নিবন্ধশিশুদের বাঁচাতে প্রাণ দেওয়া দুই শিক্ষক পাবেন রাষ্ট্রীয় সম্মান