স্ত্রীর ব্যবসার টাকায় সম্পদের মালিক হওয়ার দাবি করেও দুদকের জাল থেকে রক্ষা পেল না ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের (চট্টগ্রাম) অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ঐ পুলিশ কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ।
মামলার আসামিরা হলেন- রাউজান থানার গশ্চি গ্রামের গুরা মিয়া সেক্রেটারি বাড়ির মো. আবুল হাশেম (৬১) ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগম (৫১)। এই দম্পতি নগরের খুলশী থানাধীন পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোডের রূপসী হাউজিংয়ে থাকেন।
বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর দুদকের উপ-পরিচালক আতিকুল আলম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে মো. আবুল হাশেমকে আসামি করা হয়েছে।
সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম ১৯৮৮ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। পরে ২০২২ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) পদে থাকাকালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যান।
দুদক সূত্র জানায়, চাকরিজীবনে ঘুষ–অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালে আবুল হাশেম ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদবিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরে তাঁদের সম্পদবিবরণী জমা দিলে বিবরণী যাচাই–বাছাই শেষে দুদক দুজনের বিরুদ্ধে প্রায় ১১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৬২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায়।