বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর বহদ্দারহাটে গুলিতে এক দোকানকর্মী নিহতের মামলায় সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন এরেস্ট) আদেশ দিয়েছে আদালত। তারা হলেন, জেলার সাতকানিয়া–লোহাগাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, নগরীর বন্দর–পতেঙ্গার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নগরীর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জিনাত সোহানা চৌধুরী, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর আলী, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি মো. রেজাউল হাসান সবুজ, পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা আবুল বশর ও চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. এমরান। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ নামের উক্ত দোকানকর্মী খুনের মামলায় এ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১০ আসামি বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন উদ্দিন ও এম আবদুল লতিফসহ ৯ জনকে সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপরজন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, পুলিশের করা আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সাথে মামলার তদন্তে এই আসামিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো একান্ত প্রয়োজন।
আদালত সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের ২ দিন আগে গত বছরের ৩ আগস্ট নগরীর কদমতলী এলাকার কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাটের বহদ্দারবাড়ি শাহী জামে মসজিদের সামনে গুলিবিদ্ধ হন দোকানকর্মী মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ। পরে নগরীর বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গত বছরের ১৯ আগস্ট রাতে নিহত শহিদুল ইসলাম শহীদের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।