সাবেক জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ মে, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবর শাহ এলাকার একটি ভাড়া ঘর থেকে বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জিহাদী বই উদ্ধারের মামলায় জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের সাবেক এক কমান্ডারকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত এরশাদ হোসেন ওরফে মামুন ওরফে জয় ওরফে বিজয় ওরফে শুভ দিনাজপুর জেলার বিরল থানার সরকার পাড়ার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞা এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার অপর তিন আসামি বুলবুল আহাম্মদ সরকার, মো. সুজন ও মাহবুবুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় চারজনই কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে তাদের প্রত্যেককে আদালতে তোলা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন ধারায় এসআই শহিদুর রহমান আকবর শাহ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, আকবর শাহ থানাধীন মীর আউলিয়া রোড এলাকার জসিমের ভাড়া ঘরের ৪ নম্বর কক্ষে জেএমবি সদস্যরা গোপন বৈঠক করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এরশাদ হোসেন ছাড়া অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে এরশাদ হোসেনের দেখানো মতে ও তল্লাশি চালালে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বেশ কিছু জিহাদী বই উদ্ধার হয়। ষড়যন্ত্র ও অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে এরশাদ হোসেন সহযোগিদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়।

আদালত সূত্র আরো জানায়, এ ঘটনার কিছুদিন পর কর্ণফুলী থেকে খালাস পাওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আকবর শাহ থানার মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরপর ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। অতিরিক্ত সরকারি কৌসূলি মো. নোমান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মহসিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াছসহ গ্রেপ্তার ৮