চকবাজারের বেসরকারি একটি কলেজের অধ্যক্ষের করা চাঁদাবাজির মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ সাত আসামি। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত নির্ধারিত শুনানি শেষে ওই মামলার সব আসামিকে অব্যহতির আদেশ দেন। আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- মুজিবুর রহমান রাসেল, তানবীর মেহেদী মাসুদ, নেওয়াজ শরীফ, আরিফুর রহমান মাসুদ, আবদুর রায়হান কিরন, নুরুল হুদা মিঠু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী আসামিদের এ মামলার দায় থেকে অব্যহতি প্রদানে আপত্তি নেই মর্মে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। পরে আদালত সব আসামিকে অব্যহতি প্রদানের আদেশ দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করেন।
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানাধীন বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের কক্ষে ঢুকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রনিসহ সাতজনের নামে চকবাজার থানায় মামলাটি হয়েছিল। সেই বছর ১ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘসময় পর গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে সব আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩১ মার্চ নুরুল আজিম রনিসহ অন্যান্যরা বিজ্ঞান কলেজে দলবল নিয়ে এসে হইচই শুরু করেন। এ সময় রনি অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে রনির নির্দেশে তানভীর ও নেওয়াজ তাঁদের হাতে থাকা পিস্তল অধ্যক্ষের ঘাড়ে ঠেকিয়ে গুলি করতে চান। এ সময় টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এ সময় অধ্যক্ষকে কিলঘুষি মারার পাশাপাশি লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে। বিতর্কিত এই ঘটনার জের ধরে তখন নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ নানা জায়গায় সমালোচনা তৈরি হয়। পরে নগর ছাত্রলীগের সাধারণের সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নুরুল আজিম রনি।
২০১৮ সালে বিজ্ঞান কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রনির নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তখন বিজ্ঞান কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্দোলন করে।











