সাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম (৩৪) প্রকাশ বার্মা সাইফুলসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি ধারালো চাপাতি জব্দ করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রহমান নগর এ ব্লক ১ নম্বর বাই লেইন গ্যারেজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পাঁচলাইশ থানার ওসি তদন্ত সাদিকুর রহমান। তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পুলিশ বিকাল সাড়ে চারটায় সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায়। এক বিবৃতিতে তারা এ ঘটনার নিন্দা জানান।
সাইফুল ছাড়া ধৃত অন্যরা হচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন (২১), মোহাম্মদ আবিদ (২০), মো. সাজ্জাদ (২০) ও মো. ইমরান (২৩)।
পাঁচলাইশ থানার ওসি তদন্ত সাদিকুর রহমান বলেন, রহমান নগর এ ব্লক ১ নম্বর বাই লেইন গ্যারেজের সামনে পুলিশের উপস্থিতি দেখে দৌড়ে পালানোর সময় তাদের আটক করা হয়। সাইফুল ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ১৫টি করে এবং ইমরানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে।
বিএনপির নিন্দা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফসহ ৫ জন ছাত্রদল নেতা সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা দিতে যান।
ওইদিন পাঁচলাইশ থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে চারটায় সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে নতুন অস্ত্র মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে। এক বিবৃতিতে ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনা আতঙ্কজনক। ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফকে এভাবে গ্রেফতার করে কারাগার পাটানো নির্মম মনুষ্যত্বহীনতা এবং ভয়ানক অশুভ সঙ্কেত। এর আগেও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে পায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে, তাতে সাইফুল ইসলাম সাইফ চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। আবারো তাকে একই কায়দায় আটক গভীর উদ্বেগজনক। রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে এবং ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতেই সরকার এখন আরও হিংস্র রূপ ধারণ করেছে। শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাইফুলসহ অন্য ৪ জন ছাত্রদল নেতার কোন মামলায় ওয়ারেন্ট না থাকার পরও পাঁচলাইশ থানা পলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদেরকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছে। পুলিশ আদালত এলাকা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়ে উল্টো তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে প্রচার করছে।
