রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর আলম (৫৫) হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নিহতের পিতা আবদুস সত্তার গত সোমবার রাতে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ–ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার দুজন এজাহারনামীয় আসামি।
থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশ মঙ্গলবার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হচ্ছেন রাউজান ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হারিষখান পাড়ার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে রাসেল খান (৪২) ও রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ করিমের ছেলে মো. হৃদয় (২২)। রাসেল খান সাবেক ছাত্রদল নেতা। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
এদিকে রাসেল খানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গিয়াস কাদের চৌধুরী সমর্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মুন্সিরঘাটা, গহিরা এলাকায় রাঙামাটি সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে। এসময় সড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে লোকজন সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় জনসারণ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ সাদা পোশাকে রাসেল খানকে বাড়ি থেকে তুলে এনেছিল। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রাতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা থানায় গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। এসময় ব্যর্থ হয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ আসামিকে দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে পাঠিয়ে দেয়। নিয়ে যাওয়ার পথেও বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি আটকাতে চেষ্টা করে।
গতকাল দুপুরে রাসেল খানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে মুন্সির ঘাটায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা যুবদলের সহ–সভাপতি সাবের সুলতান কাজল, জেলা যুবদল নেতা সৈয়দ তৌহিদুল আলম, মোহাম্মদ আলী সুমনসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ জামে মসজিদের পাশে সন্ত্রাসীদদের গুলিতে যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ আলম নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরো দুজন। হতাহতরা সকলেই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী।












