সাবেক কাউন্সিলর হাসান লিটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ককে মারধর

আজাদী প্রতিদেন | বুধবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগের এক তত্ত্বাবধায়ককে মারধরের অভিযোগে ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. হাসান লিটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে মিজানুর রহমান ও মো. মোরশেদ নামে এজহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হচ্ছেন আব্দুর রহমান ও মো. বাদশা।
গতকাল দুপুরে নূর নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় খাল ও নালা-নর্দমা থেকে তোলা মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক সবুক্তগীন মাহমুদ তায়েছকে হাসান মো. লিটনের নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যায় মারধরের শিকার সবুক্তগীন বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন বছর পর গত শনিবার থেকে নগরের খাল ও নালা-নর্দমা খনন কার্যক্রম শুরু করেছে চসিক। বর্তমানে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বীর্জা খাল ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডের ডোম খালে খনন কার্যক্রম চলছে। এসব খাল থেকে উত্তোলন করা মাটি ও বর্জ্য নূর নগর হাউজিং এলাকায় ফেলা হচ্ছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ফেলতে গেলে নূর নগর হাউজিং সোসাইটি প্লট কল্যাণ মালিক সমিতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান লিটনের নেতৃত্বে বাধা দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় গিয়ে সড়কের পাশে ময়লাগুলো রাখে। তখন হাসান লিটনের নেতৃত্বে তায়েছকে মারধর করা হয় এবং ময়লা বহনকারী ডাম্প ট্রাকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়।
পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম আজাদীকে বলেন, সাবেক মেয়রের আমল থেকেই আমরা নূর নগর হাউজিং মাঠে খাল-নালা থেকে উত্তোলনকৃত মাটি ফেলে আসছি। পরে সেগুলো পে-লোডার দিয়ে লেবেল করে দিই। এবারও ফেলছিলাম। কিন্তু গত দুই-তিন দিন ধরে বাধা দিচ্ছে। আজ পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক সুবক্তগীন ঘটনাস্থলে একা ছিলেন। এই সুযোগে সাবেক কাউন্সিলর ও তার লোকজন সবুক্তগীনকে মেরেছে।
চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ককে বেশি মেরেছে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মামলা দায়ের করেছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন খাল থেকে মাটি তুলে খালি জায়গায় রাখি পানি ঝরে যাবার জন্য। বীর্জা খাল থেকে কিছু মাটি উত্তোলনের পর সেগুলো নূর নগর হাউজিং সোসাইটিতে রাখার জন্য গেলে বাধা দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে এক কিলোমিটার এলাকায় রাখার পর সেখানেও হামলা চালানো হয়। অথচ মাটিগুলো পানি ঝরে গেলেই আমরা সিটি কর্পোরেশনের ল্যান্ডফিলে নিয়ে যেতাম।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক কাউন্সিলর মো. হাসান লিটনকে ফোন করা হয়। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান আজাদীকে বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত হচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর হাসান লিটন। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে নামছে পর্যটকের ঢল
পরবর্তী নিবন্ধবুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা