সাবেক কাউন্সিলর সুমন ও তার স্ত্রীর সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৫ জুন, ২০২৫ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

নগরীর হালিশহর, পতেঙ্গা ও কক্সবাজারে থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রী শাহনাজ আকতারের ১১ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯১০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. হাসানুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

দুদক পিপি মাহমুদুল হক দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে গত ১৮ জুন জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ১১ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯১০ টাকা মূল্যের সম্পদ ক্রোক চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আজকে (গতকাল) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আদালতসূত্র জানায়, দুদকের আবেদনে বলা হয়, অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রী উক্ত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে, এ দম্পতি এসব সম্পদ অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টা করছেন। আবেদনে আরো বলা হয়, এসব সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এ জন্য উক্ত সম্পদ ক্রোক করা প্রয়োজন।

দুদকসূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রী শাহনাজ আকতার ১১ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯১০ টাকা মূল্যের অপরাধলব্ধ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছেনগরীর মধ্য হালিশহর, দক্ষিণ হালিশহর, পতেঙ্গা ও দক্ষিণ পতেঙ্গায় বিভিন্ন পরিমাণের ১৯টি জমি ও কয়েকটি পুকুর, নগরীর দক্ষিণ হালিশহরে একটি নয়তলা বাড়ি ও সেমিপাকা একতলা ঘর এবং কঙবাজার জেলার ঝিলংজা পৌর এলাকায় একটি আটতলা ভবন। দুদকসূত্র আরো জানায়, জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রী শাহানাজ আকতারের বিরুদ্ধে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম১ এর উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহুমদ বিপ্লব। উক্ত অনুসন্ধানে জিয়াউল হক সুমনের ১৫ কোটি ৪১ হাজার ৯৬৩ টাকার এবং তার স্ত্রী শাহনাজ আকতারের ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬০ টাকার ‘জ্ঞাত আয়বর্হিভূত’ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং উক্ত সম্পদ বেহাত হওয়ার আশংকা থেকে দুদকের পক্ষ থেকে জিয়াউল ও তার স্ত্রীর সম্পদ ক্রোক চেয়ে আবেদনটি করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধইরানে হানা দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন ট্রাম্প?