সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুজ্জামান হেলালীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা আরাকান হাউজিং সোসাইটির ‘বি ব্লকের’ বাসা থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করেছে। তবে এই নামে কোনো জামায়াত নেতাকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তিনটি গাড়িতে করে আরাকান সোসাইটিতে যান। এ সময় পুলিশ শামসুজ্জামান হেলালীর বাসভবন সাত্তার ম্যানসন ঘিরে রাখেন। এরপর ভবনের চতুর্থতলায় ফ্ল্যাটে অভিযান চালাতে যান। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। বেশ কিছু সময় অপেক্ষা ও ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাকে আটক করে নিয়ে যান।
তিনি ভবন মালিক আবদুস সাত্তারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ–কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘শামসুজ্জামান হেলালী নামে কোনো জামায়াত নেতাকে আটক কিংবা গ্রেপ্তারের খবর আমার জানা নেই।’ তবে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা বলেন, জামায়াত নেতা হেলালীকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কারা এটা করেছে– আমি নিশ্চিত নই। এর আগে ২০২২ সালের ২৪ জুন একই বাসা থেকে আরও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হেলালীকে। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন। এর আগে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচলাইশ থানা কমিটির আমির ছিলেন তিনি।