নগরীর মতিঝর্ণা এলাকায় সরকারি সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে ৩৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ প্রকাশ মানিকের পাশাপাশি তার স্ত্রী তাহেরা কবিরেরও সম্পৃক্ততা পেয়েছে দুদক। এছাড়া জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কারভি রাকসান্দত দ্রব’রও সম্পৃক্ততা মিলেছে। ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এ চারজনের বিরুদ্ধে গতকাল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল কাদের।
দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কাউন্সিলর মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তদন্তে মানিকের স্ত্রী তাহেরা ও জাগো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা মিলেছে। সে হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। এখন আদালত চার্জশিটটি আমলে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
আদালতসূত্র জানায়, লালখান বাজারের মতিঝর্ণার ওয়াসার পুরাতন পানির ট্যাংক এলাকায় সরকারি সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে ৩৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমেদ প্রকাশ মানিক ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর মামলাটি করা হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, লালখান বাজারের মতিঝর্ণার ওয়াসার পুরাতন পানির ট্যাংক এলাকার ভূমি তথা সরকারি পাহাড়ের পাদদেশের ভূমিতে লালখান বাজার এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাগো ফাউন্ডেশন একটি তিন তলা ভবন নির্মাণ করে। জাগো ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের (এডুকেশন প্রোগ্রাম) সহকারী পরিচালক জিহাদ উজ্জামান জানান, মতিঝর্ণার জাগো ফাউন্ডেশনের যে স্কুল রয়েছে সেই স্কুলের জমিটি ৯ বছর আগে তৎকালীন কাউন্সিলর মানিকের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। জমিতে জাগো ফাউন্ডেশন এবং কাউন্সিলর মানিকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যেখানে কাউন্সিলর মানিককে এককালীন ভাড়া বাবদ ২৮ লাখ ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ কাউন্সিলর মানিক সরকারী সম্পত্তির বা ভূমির ভুয়া মালিক সেজে উক্ত অর্থ গ্রহণ করে এবং তার স্ত্রী ৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।