সাবেক এলএওসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ভুয়া মালিক সাজিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের দুই মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ জুন, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

মালিক নন এমন একজনকে ভূমির মালিক সাজানো হয়। প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, এমনকি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ কাজটি করা হয়। এ সংক্রান্ত দুদকের পৃথক দুটি মামলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তাসহ (এলএও) ৬ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, ভূমির মালিক বনে যাওয়া নগরীর পাহাড়তলীর অজয় দাশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, কানুনগো আব্দুল কুদ্দুছ, সার্ভেয়ার মো. শহিদুল ইসলাম মুরাদ, এসএম নাদিম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ এর অনুমতিপত্র পরিদর্শক মো. ইকবাল চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১৭ জুলাই দুই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর দুদকের সহকারি পরিচালক মো. শহীদুল আলম সরকার নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে একটি মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এক নম্বর আসামি অজয় দাশকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে বিএস খতিয়ান নম্বর ৩ এর ১৬০ টি দাগের সাহামামুদপুর মৌজার প্রস্তাবিত ১৩.৭১ একর ভূমি অধিগ্রহণের ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অপর মামলার এজহারে বলা হয়, একই পন্থা অবলম্বন করে আসামিরা বিএস খতিয়ান নম্বর ৩ এর ৭৪ টি দাগের সাহামামুদপুর মৌজার প্রস্তাবিত ১১.৮৪ একর ভূমি অধিগ্রহণের ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর এইচ এস এস রোডের জনতা ব্যাংক শাখা থেকে টাকাগুলো উত্তেলন করা হয়। পরে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরপর প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়। আদালত সূত্র জানায়, মামলা দুটি তদন্ত করেন তৎকালিন সহকারি পরিচালক সিরাজুল হক। তদন্ত শেষ করে গত বছরের ১৪ মার্চ তিনি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যেখানে মামলার দুই নম্বর আসামি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে এজহারবহির্ভূত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ এর অনুমতিপত্র পরিদর্শক মো. ইকবাল চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, জেলা প্রশাসনের সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট থেকে বাদ দিলেও আদালত তা গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। বরং তার বিরুদ্ধেও সরাসরি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাল দখল করে ইটভাটা ও অপরিকল্পিত কালভার্ট
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে ৪১ ওয়ার্ডকে ছয় জোনে ভাগ