বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রোজী কবির আর নেই। গতকাল বুধবার ভোর ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজেউন)। সাবেক সংসদ সদস্য বেগম রোজী কবির দীর্ঘদিন যাবৎ লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন। বেগম রোজী কবিরের প্রথম জানাযা গতকাল বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে, দ্বিতীয় জানাযা বাদে মাগরিব উত্তর হালিশহর আজগর আলী চৌধুরী বাড়ির জামে মসজিদে ও বাদে এশা দক্ষিণ হালিশহর সিম্যান্স হোস্টেলস্থ আবদুল মাবুদ সওদাগর বাড়ির জামে মসজিদে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে কবরস্থানে দাফন করা হয়। বেগম রোজী কবিরের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শোকবার্তায় তিনি বলেন, বেগম রোজী কবির ছিলেন বাংলাদেশের একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় বলেন, বেগম রোজী কবির ছিলেন গণমানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত একজন নেত্রী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বেগম রোজী কবির বিএনপির একজন বলিষ্ঠ ও নিবেদিত প্রাণ নেত্রী ছিলেন।
চসিক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন অপর শোকবার্তায় বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে রোজী কবির ছিলেন একজন সৎ, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে চট্টগ্রামে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আরো শোক প্রকাশ কেেছন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।
বেগম রোজী কবিরের সংক্ষিপ্ত জীবনী : বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে রোজী কবির তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে দলটির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত এই সহযোদ্ধা। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারীসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করেন। মূলত, তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় বড় ভাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদের হাত ধরে। তিনি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথেও জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। রোজী কবির নগরীর উত্তর হালিশহরস্থ জমিদার পরিবার আজগর আলী চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।