মীরসরাইয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৪টায় বিএনপি–জামায়াতবিরোধী সমাবেশের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এই সভা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয়ে যায়। পরে হামলা–পাল্টা হামলার প্রস্তুতিকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মীরসরাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিএনপি–জামায়াতের সাম্প্রতিক নৈরাজ্যময় কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছি ছুফিয়া রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে। এতে আমার সমর্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যোগ দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে আগামী ৬ অক্টোবর বারৈয়ারহাটে সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভা শুরু হলে ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদার ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে কতিপয় যুবক আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় প্রায় ১৫ জনকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে জানান তিনি।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানা যায়। আহতরা হলেন, রহিমুল্লাহ, হৃদয়, পলাশ, সাইফুল, সরওয়ার, নুরুল বাকী, সবুজ, কামরুল, সেলিম, রনি প্রমুখ। তারা সবাই গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মী।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অভিযুক্ত ৯নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম দিদার বলেন, আমরা তো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস ভাইয়ের সাথে কথা বলতে সেখানে গিয়েছি। আমাদের ইউনিয়নে সভা হচ্ছে বললে আমরাও সেখানে থাকতে পারতাম। সবাই মিলে আলোচনা করতাম।
হামলার বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি তো কথা বলে চলে আসছি। হামলার বিষয়ে কিছু জানি না। উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম বলেন, ওরাই প্রথমে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের কর্মীরা শুধু আত্মরক্ষা করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত করেছি, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো কেউ আমাদের লিখিত অভিযোগ প্রদান করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।