সামাজিক মেলামেশায় যে কেউ ভুল ভ্রান্তি করে বসতে পারে। কারোর সেই দোষ ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়া ভাল। তবে সেই ভালটা নির্ভর করে ভুল ধরিয়ে দেয়ার পদ্ধতির উপর। ব্যক্তি যখন সাবলীল আচরণে মাধ্যমে সংশোধনের উদ্দেশ্যে কারো ভুল ধরিয়ে দেয় তখন একদিকে যেমন ভুলকারী নিজের ভুল বুঝতে পারে অন্যদিকে ভুল ধরিয়ে দেয়া ব্যক্তিটিও সম্মানিত হয়। পক্ষান্তরে রূঢ় আচরণ বা কটূবাক্যের মাধ্যমে কারো ভুল ধরিয়ে দিলে ভুলকারী নিজের ভুল বুঝতে পারাতো দূরের কথা উল্টো ভুল ধরিয়ে দেয়া ব্যক্তির উপর চটে বসে। কারণ তখন সে নিজের ভুলের চাইতে নিজের অপমানিত হওয়া বিষয়টার উপরই বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সবমিলিয়ে তার সংশোধন হয়ে ওঠা আর হয় না। তাই সংশোধনের জন্য ভুল ধরিয়ে দেয়া হোক সুন্দর আচরণ বা সাবলীল পদ্ধতির মাধ্যমে। পরাস্ত কিংবা হেয় প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নয়। এতে করে যে ভুল করে ও যে ভুল ধরিয়ে দেয় তাদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য তৈরি হয়।