সাবরিনার মামলায় সাক্ষী আসেনি, দুই ওসিকে শোকজ

| বৃহস্পতিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২০ at ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরীক্ষা না করে মনগড়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। গতকাল বুধবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির করতে না পেরে সময় আবেদন করে। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় গুলশান ও খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। খবর বাংলানিউজের।
গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওই দিনই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট বাদী কামাল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে আসে।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবদলি চালকের বেশে মিনি ট্রাক চুরি
পরবর্তী নিবন্ধযা আছে ভাসানচরে