সাবধানতাই পারে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঠেকাতে

নুসরাত জাহান মুক্তা | শুক্রবার , ১০ জুন, ২০২২ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

মানুষ মরণশীল। প্রতিটি মানুষকে একদিন সুন্দর এই পৃথিবী ত্যাগ করতে হবে। তবে, কিছু কিছু মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে না হয় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে। বিভিন্ন দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে অনেক মানুষের জীবন। কোনো জায়গায় আগুন লাগলে দেখা যায়, কিছু উৎসুক মানুষ দুর্ঘটনা স্থলে হাতে মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করে। কিছু লাইক কিছু মন্তব্যের আশায় মানুষ এত ঝুঁকি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট কিংবা লাইভ করে যার ফলে অনেক জীবনহানি ঘটছে।

সম্প্রতি, সীতাকুণ্ডে লাইভ চলাকালীন একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। যেসব জায়গায় বিপদ আছে, ঝুঁকি আছে সেসব জায়গায় মানুষের একটু অসতর্কতার ফলে রোজ বাড়ছে আহত কিংবা নিহত হওয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ অযথা হাসপাতালে ভীড় করে, ছবি তুলতে যায়। যা রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্য চিকিৎসায় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বার্ন রোগীর মৃত্যুর কারণ হলো ইনফেকশন। বার্ন কম হলেও ইনফেকশন হলে রোগীকে বাঁচানো যায় না। সবাইকে হাসপাতালে অযথা প্রবেশ ও ঘোরাফেরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রতিটি পরিবারের একজন মানুষ সেই পরিবারটির বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। অথচ এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সেই পরিবারগুলোর বেঁচে থাকার অবলম্বনটিকেই শেষ করে দেয়, ফলে তারা চরম ক্ষতির স্বীকার হয়। আমি, আমরা যদি একটু সাবধান হই একটু পরিস্থিতি বুঝতে শিখি তবেই কিছু দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ফেসবুক লাইভ, ছবি কিংবা ভিডিও করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে দেখলে মোবাইল হাতে খবর প্রচারের মানসিকতা পরিহার করে, আগে যে মানুষগুলো বিপদে পড়েছে তাদের যথাসম্ভব সাহায্য করা উচিত। দুর্ঘটনার পর যে মানুষগুলো আহত হয় তাদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি আমাদের সকলের উচিত, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সাবধান ও সতর্ক থেকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঠেকানো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবতার চরম দৃষ্টান্ত
পরবর্তী নিবন্ধনাজাতের উপায় তওবা ও ইস্তিগফার : তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবা