জগতে এমন অনেক মানুষ আছে কারো প্রশংসা বা সহোযোগিতায় নিজেকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে আবার এমনও আছে কারো অসোহোযোগিতাপূর্ণ মনোভাব অথবা পরিহাস তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়। একজন মানুষের উপর, অপর একজন মানুষের ভালোবাসা বা স্নেহপরায়ণতা মমত্ববোধ তাকে অনেক উপরে একটি ভালো পজিশনের পথ বের করে দেয়। জীবন একা একা চলতে পারে না। তার সাথীর দরকার, ছায়া মায়া মমতার দরকার। দরকার তার কাজের প্রশংসা। তখন একজন মানুষ এই প্রশংসাকে হাতিয়ার বানিয়ে নিজেকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে। তবে এটাও ঠিক লক্ষ্য স্থির রেখে যেকোন কাজে হাত দিলে সাফল্য আসবে। পাছে লোকে কি বললো না বললো সেই দিকটা এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে সুখের সাথী সবাই হয়, দুখের কথা শোনারও লোক থাকে না। তবে এই কথাটা মনে রাখতে হবে সাফল্য বা জনপ্রিয় হতে নিজেকে ভাড় বানাবেন না। আপনি যা করবেন সেটা যেন অন্যেরা সম্মানের চোখে দেখে। ছেলেবেলায় গ্রেটা গার্বো তার সংসারের অভাব দূর করতে একটা সেলুনে অন্যদের চুল ওয়াশ করে উপার্জন করে সংসার চালাতেন। একদিন সেই সেলুনে এক মহিলা গ্রেটার চোখ খুলে দিলো। তার চেহারা খুবই গ্ল্যামারস এবং অপূর্ব সুন্দরী। সেইদিনই গ্রেটা বাড়িতে যেয়ে নিখুঁত ভাবে নিজেকে দেখলো। এবং সে যে অপূর্ব সুন্দরী সেটা রিয়েলাইজড করলো। গ্রেটা গার্বো যখন বিখ্যাত হলো তখন সেই মহিলার কথা খুব স্বরণ করতো, সে যদি তাকে না বলতো গ্রেটা সুন্দর তবে হয়তো আজীবনই তার অন্যের চুল ধোয়ার কাজই করে যেতে হতো। জীবনে এমন প্রেরণাদায়ক একজনই হলেই এনাফ। আর চলার পথে আমাদের হাসি কান্না দুঃখ বেদনা অনুরাগ অনুভূতি সব থাকবে। থাকবে আকাশ সমান আবেগ। তবে আবেগের মৃত্যু নয় তাকে নিয়ন্ত্রণ করে চললে সাফল্য ধরা দেবেই। পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী পড়লে বোঝা যায়। প্রতি পদক্ষেপে তাদের উত্থান পতনের নানা দিক। পতন আছে বলেই উপরে ওঠার দঃসাহস আমাদের প্রবল।