গত সোমবার (২২ মে) রেহেনা আক্তার নামে সাপে কাটা এক রোগীকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে ওই রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন বলে অভিযোগ। তবে চমেক হাসপাতালে পৌঁছার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু ঘটে। রেহেনা আক্তার লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী। এদিকে, বিষয়টি নজরে আসায় এ ঘটনার সুুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ঘটনাটি তদন্তে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ২৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাউকে না রাখতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়েছি। দুজন স্পেশালিস্ট রেখে আমরা বৃহস্পতিবার (আজ) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করবো। কমিটি চাইলে অন্য কাউকে কো–অপ্ট করতে পারবে। তবে কমিটিতে ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ থাকবে না।
সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় একটি এন্টি ভেনম দেয়া হয়। আগে এভেইলেবল না থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের আভাসের পর এন্টি ভেনমটি সব উপজেলা হাসপাতালে নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন সব উপজেলা হাসপাতালেই সাপে কাটার এন্টি ভেনম রয়েছে। এছাড়া সাপে কাটা রোগীর জরুরি চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে। এর মাঝে লোহাগাড়ার এ ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছে। কয়েকদিন আগে বাঁশখালীতেও সাপে কাটা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, তবে হাসপাতালে আসার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি।
লোহাগাড়ার ওই ঘটনার বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার–পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফের মোবাইলে একাধিক বার কল দেয়া হয়। তবে নাম্বার ব্যস্ত দেখানোয় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।












