সাপ ধরতে গিয়ে ছোবলে প্রাণ হারান এক সাপুড়ে, তারপর সেই সাপটিকে কাঁচাই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন আরেক সাপুড়ে। এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে ডাক্তারপাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির রান্নাঘরে একটি ইদুরের গর্তে কিং কোবরা সাপ বাসা বাঁধে। সঙ্গে ছিল ১৫–১৬টি বাচ্চা। মাটি খুঁড়ে সাপের বাচ্চাগুলো প্রথমে ধরেন ইমরান। পরে বড় মা সাপটিও ধরেন। বস্তায় ভরার সময় সাপটি বয়েজ উদ্দিনকে কামড়ে দেয়। বিষয়টি পাত্তা দেননি সাপুড়ে। কিন্তু বাড়ি ফিরে তিনি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর বিডিনিউজের।
বয়েজ উদ্দিনের মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে ওঝা ও সাপুড়েরা। তখন সেখানে মোজাহার নামের এক ব্যক্তিও আসেন। তিনিও সাপ ধরেন। মোজাহার এসে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সবগুলো সাপ নিয়ে নেন। পরে কাছের গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। এ সময় সেখানে প্রচুর লোক সমাগম হয়। মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। মোজাহার বলেন, বড় সাপটি মেরে রক্ত–মাংস খেয়েছি। আর বাচ্চাগুলো ছেড়ে দেব। তিনি জানান, কাঁচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম আবু সায়েম বলেন, সাপে কাটলে ঝাড়ফুঁকে কোনো কাজ হয় না। সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। প্রচুর অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশি। সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনতে হবে।