তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি শহরের রেস্টুরেন্টে কিংবা কাপ্তাই গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে ছবি দিয়ে বলে আমরা মিটিং করেছি। অথচ সাধারণ মানুষের পাশে তাদের পাওয়া যায় না। তাদের করোনা, বন্যা কিংবা নানা দুর্যোগ–দুর্বিপাকেও পাওয়া যায় না। কিন্তু ভোট আসলে ভাজ করা পায়জামা–পাঞ্জাবি পড়ে, জিয়াউর রহমানের মতো চোখে সানগ্লাস পরে এসে বড় বড় কথা বলবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের জিজ্ঞেস করবেন দুর্যোগ–দুর্বিপাকে তারা কেন আসেনি। আওয়ামী লীগ জালের মতো করে গ্রামের অলিগলিতে যে পাকা রাস্তা করেছে তার গর্তটুকু ভরাট করতে পারবে কিনা জিজ্ঞেস করবেন। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন–অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা–কদমতলী ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, সদস্য ইলিয়াস কাঞ্চন চৌধুরী, শেখর বিশ্বাস, ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে। যা আগের কোনো সরকার করেনি। এখন প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামেলি কার্ডসহ নানা সুবিধা চালু করেছে। নৌকা মার্কার সরকার এই ভাতাগুলো দিচ্ছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় না আসে, তবে এসব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য কোনো সরকার আসলে এসব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। যে সরকার চাল, ডাল, তেল, চিনি, ভাতা দেয়, সেই সরকার ভোটটিও পাবে আশা করি।