পূবালী ব্যাংকের প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শিল্পগ্রুপ সাদ–মুসা গ্রুপের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। তারা হলেন, সাদ–মুসা গ্রুপের এমডি মুহাম্মদ মোহসিন, তার স্ত্রী শামীমা নারগিস চৌধুরী, পূবালী ব্যাংক সিডিএ কর্পোরেট শাখার সাবেক উপ–মহাব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ফরেন ট্রেড ইনচার্জ জাকিয়া মমতাজ। এর মধ্যে ফারুক আহমেদ বর্তমানে পূবালী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় বৈদেশিক বাণিজ্য শাখায় মহাব্যবস্থাপক ও জাকিয়া মমতাজ পূবালী ব্যাংক চট্টগ্রাম শাখার সেন্ট্রালাইজড ট্রেড প্রসেসিং সেন্টারের সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। গতকাল দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযোজ্য সার্কুলার ও ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অমান্য, কাগুজে বিল সৃষ্টি এবং ২৫ টি লোকাল এলসি ইস্যুর মাধ্যমে ৯৪ কোটি ৮১ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। অসৎ উদ্দেশ্যে একে অন্যের সহায়তায় ও পারস্পরিক যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অসদাচরণের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বিপুল অংকের এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যা দন্ডবিধির ১০৯/৪০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকসূত্র জানায়, নগরীর বায়েজিদের এমএ রহমান ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ১৯৯৮ সালে পূবালী ব্যাংক সিডিএ কর্পোরেট শাখায় একটি হিসাব খুলে ব্যবসায়িক সম্পর্ক শুরু করেন মুহাম্মদ মোহসিন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। ব্যাংক হিসাব খোলার পর ২০০৭ সালে মুহাম্মদ মোহসিন এমএ রহমান ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ’র নামে ঋণের আবেদন করেন। পরবর্তীতে মুহাম্মদ মোহসিনের উক্ত আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয় উল্লেখ করে মামলার এজাহারে বলা হয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযোজ্য সার্কুলার ও ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অমান্য, কাগুজে বিল সৃষ্টি এবং ২৫ টি লোকাল এলসি ইস্যুর মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকের প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।