ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রক করা প্রথম বোলার তাইজুল ইসলাম। তবু ক্যারিয়ারের শুরুতে এই সংস্করণে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরির সুযোগ পাননি তিনি। দীর্ঘ দিন তাকে মূলত টেস্ট বোলার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। কিছুটা দেরিতে হলেও এখন সাদা বলের ক্রিকেটেও নিয়মিত হচ্ছেন তাইজুল। লাল বলের সঙ্গে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের পার্থক্যটাও ধরতে পারছেন বাঁহাতি স্পিনার। আসন্ন বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার বাছাইয়ের জন্য তাইজুল ও নাসুম আহমেদকে অদল–বদল করে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে চলতি ইংল্যান্ড সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দলে আছেন তাইজুল।
আয়ার্যলান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে ২ ওভারে ৫ রান খরচায় নিয়েছিলেন এক উইকেট। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে তার শিকার ছিল ৪টি। গত বছর খেলা তিন ওয়ানডেতে নেন ৮ উইকেট। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ বছরের ক্যারিয়ারে ১৬ ম্যাচে তার শিকার ২৭ উইকেট। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পাওয়া একমাত্র ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েই মূলত ওয়ানডে ক্যারিয়ার নতুন শুরুর আভাস দেন তাইজুল। এরপর থেকে তাকে এই সংস্করণের জন্যও বিবেচনায় রাখতে শুরু করে দল। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে দলের অনুশীলনের পর তাইজুল বলেন লাল বল ও সাদা বলের আলাদা প্রস্তুতি বলতে হয়তো সাদা বলে বৈচিত্রের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হয়। আমি সাধারণত প্রক্রিয়াটা একইরকম রাখি। টেস্ট ক্রিকেটে হয়তো ২–১টা বৈচিত্রে হয়ে যায়। তবে এখানে ৬টা বল ৬ ধরনের করা লাগতে পারে।