চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং রিটার্নিং অফিসার কে এম নূর আহমদ। এর আগে এ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ৯১ ভোট পেয়ে অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি–জামাতপন্থী সাদা দলের প্রার্থী ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. শামীম উদ্দিন খান, ১০০ ভোট পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে আওয়ামীলীগ–বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী অর্থনীতি বিভাগের ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, ৮৬ ভোট পেয়ে সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ আলী এবং ৫৫ ভোট পেয়ে প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন। এদিকে নির্বাচনে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের আরেক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম অংশগ্রহণ করলেও জয়লাভ করেনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট–১৯৭৩ এর ২৫ (১) (বি) ও ২৫ (২) ধারা এবং স্ট্যাটিউট অনুসারে আগামী ২ বছর সিন্ডিকেট সদস্যের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচিত সদস্যরা। চার ক্যাটাগরিতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ৫ জন, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ৩ জন, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ৫ জন এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ২ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং রিটার্নিং অফিসার কে এম নূর আহমদ বলেন, চার ক্যাটাগরিতে মোট ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনে অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ২৮৮টি ভোটের মধ্যে পড়েছে মোট ২৭৮ ভোট। সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ১৯২টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ১৭৭ ভোট। সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ২১৩টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ১৯৬ ভোট। এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ৮৩টি ভোটের মধ্যে পড়েছে ৮৩ ভোট।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মাহবুব হারুন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চবি সিন্ডিকেটে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়।