ব্রাজিলের মাঠে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের আরেকটি ম্যাচ। কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সুপার ক্লাসিকো দেখার জন্য মাঝ রাত অবধি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। উত্তেজনা দিয়েই শুরু হলো সুপার ক্লামিকো। খেলা গড়ালো ৭ মিনিটের মত। কিন্তু তাতেই থমকে গেল বারুদ ছড়ানোর আভাস দেওয়া ম্যাচটি। মাঠে ঢুকে পড়লেন কিছু অচেনা মুখ। পরে জানা গেল তারা ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা। তারা কেন মাঠে। জানা গেল আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার যারা এসেছে ইংল্যান্ড থেকে তারা কোয়ারেন্টাইন আইন অমান্য করে এই ম্যাচে খেলছে। তাই তাদের গ্রেফতার করতে হবে। শেষ পর্যন্ত রেফারী ম্যাচটি স্থগিত ঘোষনা করে। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা কনমেবল এক টুইটে জানায়, ম্যাচ রেফারি স্থগিত করে দিয়েছে ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচ। ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এই প্রক্রিয়া বর্তমান নিয়ম দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেই এগোবে। ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) প্রধান ক্লাওদিয়ো তাপিয়া। তিনি বলেন আজ যা ঘটেছে তা ফুটবলের জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। খেলাটির ভাবমূর্তির জন্য এটি খুবই খারাপ হলো। চার জন মানুষ একটি নোটিশ দিতে খেলার বিঘ্ন ঘটাল এবং কনমেবল খেলোয়াড়দের লকার রুমে চলে যেতে বলল। কেউ কোনো মিথ্যে বলতে পারবে না। কারণ স্বাস্থ্য নিয়ে আইন রয়েছে যার অধীনে লাতিন আমেরিকার টুর্নামেন্টগুলোর খেলা হয়। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রটোকল অনুমোদন করে আর এটি পুরোপুরি মেনে চলেছি। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি ভীষণ হতাশ ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায়। তার মতে খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোনোভাবেই সেখানে বিঘ্ন ঘটানো ঠিক হয়নি। এটা আমাকে খুব ব্যথিত করছে। আমি কাউকে দোষারোপ করতে আসিনি। তবে যদি কিছু ঘটেও থাকে সেটার জন্য বিঘ্ন ঘটানোর সময় এটা ছিল না। এটা সবার জন্য একটা উৎসবের ক্ষেত্র হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের খেলা উপভোগ করার কথা ছিল। আমি চাই আর্জেন্টাইনরা যেন বুঝতে পারে, কোচ হিসেবে নিজের খেলোয়াড়দের রক্ষা আমাকে করতেই হবে। সফরকারী কোচের দাবি, আনুষ্ঠানিকভাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা চার ফুটবলারের ব্রাজিল ম্যাচে খেলা নিয়ে আপত্তির কথা তাদের কেউ জানায়নি।
কোনো সময়েই আমাদের জানানো হয়নি যে এরা খেলতে পারবে না। আমরা ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। শুধু আমরা ন্ই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররাও ম্যাচটা খেরতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা দিলনা। যা ফুটবলের জন্য বড় অসম্মানের। কারন আমরা ব্রাজিলে ছিলাম তিনদিন ধরে। অথচ আমাদের কোন নোটিশ দেওয়া হলোনা। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পর তারা কেন এটা করতে গেল সেটা মোটেও বোধগম্য নয়। ।