কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে কর্মীদের নিয়ে টানা সাত মাস হোটেলে ভাত খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি হাবিবুল বাশারকে প্রধান করে গতকাল সোমবার এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয় বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। কমিটির সদস্যরা হলেন– কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি রবিউল হাসান রানা, উপ–সম্পাদক শাহীদুল ইসলাম শাকিল ও আহসান হাবিব সজীব। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটির সদস্যরা খুব শীঘ্রই কক্সবাজারে আসবেন এবং অভিযোগকারী, সাক্ষী ও অভিযুক্তদের বক্তব্য গ্রহণ করবেন। কলাতলীর ওয়াল্ডবীচ হোটেলের বেসমেন্টে অবস্থিত একটি ভাতের হোটেল মালিক শাহাব উদ্দিন গত ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করেন যে, কঙবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনান দীর্ঘদিন ধরে তার কর্মীদের নিয়ে তার ভাতের হোটেলে (মেচ) নিয়মিত খাওয়া–দাওয়া করেন।
খাওয়া–দাওয়া শেষে বিল বাকি রেখে চলে যেতেন। সাত মাসে বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকায়। গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বকেয়া টাকা চাইলে হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের মারধর করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার কর্মীরা। এসময় তারা হোটেলের ক্যাশে থাকা ৩০ হাজার টাকাও লুট করেন।
তবে অভিযোগটি এখনও মামলা হিসাবে রেকর্ড করেনি পুলিশ। অভিযোগটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান কঙবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান। তিনি বলেন, তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেলে তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনান বলেন, আমি কোনো দিন ওই হোটেলে যায়নি। অভিযোগকারীকেও কখনও দেখিনি বা চিনি না। অভিযোগটি একটি প্রভাবশালী চক্রের সাজানো ও পুরোপুরি মিথ্যা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, কলাতলীর ওর্য়াল্ডবীচ হোটেলের দখল নিয়ে মালিক হাজী দেলোয়ার গং ও পনের বছরের জন্য ভাড়া গ্রহীতা মেজর (অব🙂 দেলোয়ার গং এর মধ্যে বিরোধে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনান ও তার অনুসারীসহ জেলা আওয়ামী লীগের একদল নেতা মেজর (অব🙂 দেলোয়ার গং এর পক্ষ নেয়। আবার আওয়ামী লীগের আরেক দল নেতা পক্ষ নেয় হাজী দেলোয়ার গং এর। তারা চায়, মেজর (অব🙂 দেলোয়ার গং কে ওই হোটেল থেকে উচ্ছেদ করতে। কিন্তু এতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনান ও তার অনুসারীরা।