কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নিজ দেশের নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশিদের মসজিদুল হারামে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সাত মাস পর এ অনুমতি মিলল বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন গতকাল রোববার সকালে জানিয়েছে। মহামারীর কারণে মার্চ থেকে পবিত্র এ স্থানটিতে সীমিত আকারে নামাজ আদায় চললেও জামাত বন্ধ আছে। এতদিন সাধারণ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। শুধু ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের কর্মচারীরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারতেন। খবর বিডি ও বাংলানিউজের।
১৭ মার্চ এক ঘোষণায় সৌদি সরকার মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই মসজিদ ছাড়া দেশটির বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ স্থগিত করে নির্দেশ জারি করেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। পরে এ দুটি মসজিদেও জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ করা হয়।
৪ অক্টোবর প্রথম ওমরাহ যাত্রীদের জন্য মসজিদুল হারামের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। সৌদি আরবে রোববার পর্যন্ত ৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৪ জনের মধ্যে মহামারীর সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ জনের। এদিকে জিয়ারতের (দর্শন) জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা শরিফ। রাজকীয় নির্দেশনায় গতকাল রোববার হজরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা শরিফ খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। সেই সঙ্গে একই দিন শুরু হয়েছে ওমরাহ হজের দ্বিতীয় ধাপ। খবর বাংলানিউজের।
ধারণ ক্ষমতার ৭৫ শতাংশ মুসল্লি মসজিদে নববিতে প্রবেশ ও রওজা শরিফ জিয়ারতের সুযোগ পাবেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য হানি আল-ওমাইরি এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ১৮ অক্টোবর মদিনা শরীফের পুরোনো স্থাপনাসহ পুরো মসজিদটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। ওমরার জন্য নিবন্ধনকারীদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে বলেও জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক কমিটি। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বাইরে থেকেও ইবাদতের উদ্দেশে সব মুসলিমকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেওয়া হবে। তবে আবেদন করার আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে সবাইকে।