সাত দফা দাবিতে চবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ মে, ২০২৫ at ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত, সকল বিভাগইনস্টিটিউটে সেশনজট নিরসন এবং অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ক্যাম্পাসের চাকসু ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন ও শহীদ মিনার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। পরে শাখা সভাপতি ৭ দফা দাবি ঘোষণা করেন। প্রায় এক দশক পরে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে সংগঠনটি।

বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররাম মুরাদ, চবি শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, শাখা শিক্ষা সম্পাদক পারভেজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রশিবিরের ঘোষিত ৭ দফা দাবি হচ্ছেশতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করা, সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করা, অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দেওয়া, দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনঃনির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করা, জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা।

সমাবেশে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আপনি (উপাচার্য) বলেছেন যারা অবৈধ ও টাকার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে, তাদের কারণে ৪০ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় অকেজো থাকবে। তাহলে তারা কেন শিক্ষকের পদে থাকবে? যারা আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে, শহীদ মিনারে রক্ত ঝরিয়েছে, তারা কেন এখনো বিভিন্ন পদে পদায়ন হচ্ছে? কেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না? তাদেরকে সাথে নিয়ে আপনারা কিসের কনফারেন্সসেমিনার করেন?

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে দুই ভাইয়ের ৪টি গরু চুরি
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বিভিন্ন অপরাধে ৪ দোকানিকে জরিমানা