সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয় ছাত্র–জনতা। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে আধা ঘণ্টার অধিক সময় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে সড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতকানিয়া থানার ওসি মোঃ জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার খবর গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে ৫০–৬০ জন ছাত্র–জনতা জড়ো হয়ে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা সাতকানিয়া থানার ওসি মোঃ জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এ সময় মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুই দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন পারভেজের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তাদের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা ধীরে ধীরে মহাসড়ক থেকে সরে যান। অবরোধকারীদের দাবি, ওসি জাহেদুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকায় অপরাধ দমন ও মাদক বিরোধী অভিযানে দৃঢ় ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। এমন সময় ওসিকে প্রত্যাহার করা মানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়া। কেরানীহাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সাতকানিয়া থানার ওসি মোঃ জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্র–জনতা মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ অবরোধ করে রাখেন। এতে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতায় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর অবরোধে অংশ নেওয়া ছাত্র–জনতা সরে পড়েন। এরপর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, সরকারি চাকরিতে বদলি স্বাভাবিক বিষয়। সরকার যেখানে পাঠাবে, নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করব। জনগণের চাওয়া পাওয়া সেটাতো আলাদা বিষয়। আমরা সরকার চাকরিজীবী হিসেবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করব। যখন যে পরিস্থিতিতে দিবে সেখানে যাবো।