সাতকানিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একই মাদ্রাসার একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম মাওলানা মো. আবদুল মালেক (৩৩)। গত বুধবার সকালে উপজেলার উত্তর পুরানগড় লতাবুনিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
ধর্ষিতার মা জানান, উত্তর পুরানগড় ৪নং ওয়ার্ড লতাবুনিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় আমার মেয়েসহ এলাকার ছেলে-মেয়েরা আরবী পড়ে। একই এলাকার মৃত নুরুল্লাহর পুত্র মাওলানা মো. আবদুল মালেক ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। গত বুধবার সকালে আমার ২ মেয়ে অন্যান্য দিনের মতো ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় যায়। সকাল ৮টার দিকে আমার এক মেয়েসহ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিলেও আমার বড় মেয়েকে মাদ্রাসার দরজা জানালা বন্ধ করার কথা বলে কৌশলে রেখে দেয়। পরে আমার মেয়েকে দিয়ে মাদ্রাসার জালানা বন্ধ করায়। এক পর্যায়ে আবদুল মালেক মাদ্রাসার দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে ১০ টাকা হাতে দিয়ে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ছেড়ে দেয়। আমার মেয়ে, আবদুল মালেকের ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন করলেও শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষয়টি আমি বুঝতে পারি। তখন মেয়েকে জিজ্ঞেস করার পর বিস্তারিত জানতে পারি।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ ধর্ষক আবদুল মালেককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ সোমবার সকালে ধর্ষিতা শিশুকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকেও আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে।