সাতকানিয়ায় রাতের আঁধারে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধুর কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পরে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গণপিটুনির শিকার শওকত ওসমান লিটন (৩০) কঙবাজারের চকরিয়ার খৈয়ারবিল এলাকার জসীম উদ্দিনের পুত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে কেরানীহাট-গুনাগরি সড়কের চুড়ামনির কাঁঠালতলে ডাকাতির পর রাত ৩টায় চুড়ামনি পশ্চিমের দোকান এলাকায় লিটন গণপিটুনির শিকার হয়।
ডাকাতির শিকার মোটরসাইকেল আরোহী দক্ষিণ কাঞ্চনা গুড়গুরির তৌহিদুল ইসলাম জানান, মারুফ, সাকিল ও আমি মোটরসাইকেল যোগে ফুলতলা বাজার থেকে ছনখোলায় যাচ্ছিলাম। চুড়ামনির কাঁঠালতল এলাকায় পৌঁছার পর একদল ডাকাত অস্ত্র ও দা নিয়ে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আমাদের মারধর করে সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাদের একপাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এসময় আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে রাত ৩টার দিকে স্থানীয় জনতা চুড়ামনি পশ্চিমের দোকান এলাকা থেকে সন্দেহজনক এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, গণপিটুনির শিকার যুবক লিটনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শওকত ওসমান পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ডাকাতির শিকার তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
